Jesus Christ Biography_Bengali
যীশুখ্রীষ্ট |
যীশুখ্রীষ্ট ছিলেন ঈশ্বর প্রেরিত মানবজাতির
ত্রাণকর্তা। তাঁর জন্ম হয়েছিল জেরুজালেমের কাছে বেথলেহেম শহরের এক আস্তাবলে। তাঁর পিতা জোসেফ
ছিলেন একজন সূত্রধর আর মাতা ছিলেন মেরী। উভয়েই প্যালেস্টাইনের নাজারেথ নামক গ্রামে
বাস করতেন।
কুমারী অবস্থাতেই মেরী যীশুর জন্ম দেন। এক রাতে তিনি
আশ্চর্যরকম স্বপ্ন দেখলেন। স্বপ্নে এক দেবদূত আবির্ভূত হলেন। তিনি মেরীকে বললেন
কিছুদিনের মধ্যেই মেরী ঈশ্বর প্রেরিত এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেবেন। তিনি একথাও বললেন যে
সেই পুত্রের নাম যেন যীশু রাখা হয়।
মেরী চমকে উঠলেন এবং আনন্দও পেলেন। পাশের গ্রামে তাঁর
দিদি এলিজাবেথ থাকতেন। মেরী সেই দিদিকেই স্বপ্নের কথা জানালেন। এদিকে এলিজাবেথও
স্বপ্নে দৈববাণী শুনেছিলেন, তাঁর যে পুত্র সন্তান জন্মাবে সে হবে মেরীর পুত্র
যীশুর অগ্রদূত এবং তার নাম জোহন রাখার কথাও দৈববাণীতে বলা ছিল।
নাজারেথে ফিরে মেরী জোসেফকে যীশুর জন্মের কথা
শোনালেন। কুমারী অবস্থায় মেরী সন্তান সম্ভবা শুনে জোসেফ মেরীর সঙ্গে সমস্ত
সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইলেন। সেই রাত্রে জোসেফ ঘুমন্ত অবস্থায় এক দৈববাণী
শুনলেন,“মেরীকে
ত্যাগ করোনা, মেরী মানুষের ত্রাণকর্তা ঈশ্বর পুত্রের জননী হতে চলেছে।”
দৈববাণী শুনে জোসেফ আনন্দে অভিভূত হলেন। মেরীকে তিনি বিবাহ
করলেন।
মেরীকে নিয়ে জোসেফ বেথলেহেম শহরে চলে গেলেন। তাঁরা কোথাও থাকার
জায়গা পেলেন না। বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিলেন এক আস্তাবলে। সেই রাতেই যীশুর জন্ম হল।
বেথলেহেম পাহাড়ের তলায় একদল রাখাল মেষ চরাত। তারা আকাশে এক
আশ্চর্য আলো দেখে চমকে উঠল। দেবদূত তাদেরও বেথলেহেমের আস্তাবলে যীশুর জন্মের
সংবাদ দিলেন। সংবাদ পেয়ে সকলে যীশুকে দেখতে এল।
ইহুদীদের প্রথা অনুযায়ী শিশুর জন্মের ৮ দিন পরে
মন্দিরে গিয়ে তার নামকরণ করতে হয়। দৈববাণী অনুযায়ী জোসেফ ও মেরী তাঁদের পুত্রের নাম
রাখলেন ‘যীশু’।
প্রাচ্য থেকে ৩ জন প্রাজ্ঞ পুরুষ যীশুকে দেখতে
এলেন। নতুন এক উজ্জ্বল তারার আলোয় তাঁরা পথ চিনলেন। সেই সময় প্যালেস্টাইনের রাজা
ছিলেন হেরড। তিনি ছিলেন খুব অত্যাচারী। প্রাচ্যের সেই ৩ প্রাজ্ঞ পুরুষ তাঁর কাছে
জানতে চাইলেন ইহুদীদের নতুন রাজা কোথায় জন্মেছেন।
হেরড বললেন রাজপরিবারে কোনও শিশুর জন্মের খবর
তিনি পাননি। সেকথা শুনে পণ্ডিতেরা জানালেন যে সেই নতুন রাজার জন্মের কথা শাস্ত্রে
লেখা আছে। তাকে প্রণাম জানানোর জন্যই তাঁদের বেথলেহেমে আগমন।
হেরড তাঁদের জানালেন বেথলেহেম শহরেই সেই শিশুর
দর্শন মিলবে। নবজাতকের সন্ধান পেলে তাঁকে সেকথা জানিয়ে যাওয়ার জন্য পণ্ডিতদের তিনি
অনুরোধ করলেন। তিনি বললেন তিনিও তাকে প্রণাম জানতে যাবেন।
সেই ৩ পন্ডিত যীশুর সন্ধান পেলেন। তাকে দর্শন করে
ফেরার পথে তাঁরা দৈববাণী শুনলেন, “তোমরা সরাসরি গৃহে ফিরে যাও। হেরডের সঙ্গে দেখা
করো না।”
তাঁর ভবিষ্যত প্রতিদ্বন্দীর খবর না পেয়ে হেরড
তাঁর সেনাপতিকে বেথলেহেম শহরে গিয়ে প্রতিটি নবজাত শিশুকে হত্যা করার নির্দেশ
দিলেন। একথা জানতে পেরে জোসেফ ও মেরী যীশুকে নিয়ে রাতারাতি মিশরে চলে গেলেন।
কিছুদিন পর হেরডের মৃত্যু হল। যীশুকে নিয়ে জোসেফ ও মেরী তখন নাজারেথে ফিরে এলেন।
জেরুজালেম ইহুদীদের পবিত্র তীর্থস্থান।
নিস্তারপর্ব উপলক্ষ্যে প্রতি বছর সেখানে উত্সব পালিত হয়। ১২ বছর বয়স হলে উত্সবে
যোগ দেওয়া যায়। যীশু তখন ১২ বছরের বালক। জোসেফ ও মেরী তাকে সঙ্গে করে জেরুজালেমে
গেলেন।
উত্সব উপলক্ষ্যে মন্দিরে পশুবলি দেওয়া হত। সেই
দৃশ্য দেখে যীশুর মনের পরিবর্তন ঘটে। এই পূজা তার কাছে অর্থহীন মনে হয়।
আর একটু বয়স বাড়ার পর যীশু তাঁর বাবার সঙ্গে
ছুতোর মিস্ত্রীর কাজ শুরু করলেন।
বয়স যত বাড়ছিল, যীশুর মধ্যে ততই পরিবর্তন ঘটছিল। মানুষের
দু:খ-বেদনা তাঁকে ব্যথিত করে তুলছিল। তিনি উপলব্ধি করলেন মানুষকে বুঝিয়ে বলতে হবে
যে দু:খ এবং পাপই ঈশ্বরের থেকে তাদের দূরে সরিয়ে রেখেছে।
যীশু ইহুদীদের মধ্যে নিজের ধর্মমত প্রচার করা
শুরু করলেন। তিনি দেশের নানা প্রান্ত ভ্রমণ করলেন। তাঁর প্রেমের বাণীতে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ দলে
দলে ছুটে আসতে লাগল।
যীশুখ্রীষ্ট |
যীশু বেশ কিছু অলৌকিক কাণ্ড ঘ্টালেন। অন্ধকে তিনি দৃষ্টি
দিলেন, খঞ্জকে দিলেন চলার শক্তি, মৃতকে দিলেন জীবন। তিনি পৃথিবীতে
স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করলেন।
এদিকে জুড়িয়ার নতুন শাসনকর্তা হলেন পন্টিয়াস
পাইনে। তাঁর শাসনে কিছুদিনের মধ্যেই বিভীষিকা শুরু হল। এই সংকটের সময়ে
প্যালেস্টাইনে এক নতুন ধর্মগুরুর আবির্ভাব হল। সেই ধর্মগুরু হলেন মেরীর দিদি
এলিজাবেথের পুত্র জোহন।
জোহন দেশের নানা অঞ্চলে ঘুরে ঈশ্বরের বাণী প্রচার
শুরু করলেন। তিনি বললেন দেশের মানুষের দু:খ করতে ঈশ্বর পুত্র আবির্ভূত হয়েছেন। সেই
ঈশ্বর পুত্র সকলের পাপ দূর করে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যাবেন।
জর্ডন নদীর তীরে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষজনকে লক্ষ্য
করে জোহন একদিন বললেন, “তোমরা সবাই নদীর জলে স্নান করে এসো। তারপর আমি
তোমাদের দীক্ষা দেব। ঈশ্বর পুত্র এসে তোমাদের পাপ দূর করবেন।” সেই সময় যীশুও
সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও জোহনের কাছে দীক্ষা নিলেন।
ঠিক সেই সময় যীশু শুনতে পেলেন এক অলৌকিক কন্ঠস্বর—“তুমিই ঈশ্বর
পুত্র...?” একথা শুনে যীশু নিজের মধ্যে প্রাণের সঞ্চরণ অনুভব করলেন। আধ্যাত্মিক
চেতনায় মগ্ন হয়ে তিনি চলে গেলেন জুড়িয়ার এক মরুপ্রান্তরের এক ছোট্ট পাহাড়ে। তিনি
ধ্যানে বসলেন। টানা ৪০ বছর কেটে গেলেও কোনওদিকে তাঁর কোনও ভ্রুক্ষেপ লক্ষ্য করা
গেল না।
ধ্যান ভঙ্গ হওয়ার পর ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি
রাস্তায় বার হলেন। ধর্মপ্রচারের জন্য তিনি ১২ জন শিষ্যকে সঙ্গে নিলেন। এঁরা হলেন
পিটার,এন্ড্রু, জেমস, জন, ফিলিপ, জ্যাক্স প্রমুখ।
যীশু প্রতিবেশীকে ভালোবাসার কথা বলেন। তিনি বলেন
আর্ত মানুষের সেবায় জীবন উত্সর্গ করার মধ্য দিয়েই মানব জনম স্বার্থকতা লাভ করে।
যীশু বললেন পরম করুণাময় ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
তিনিই আমাদের পিতা। তিনি ক্ষমার আধার। পীড়িত, ক্লিষ্ট মানুষের সেবা প্রকারান্তরে
প্রেমময় দেবতারই আরাধনা। পৃথিবীতেই রয়েছে প্রেমের স্বর্গ। অনন্ত উজ্জ্বল আলোয় তার
দিগন্ত উদ্ভাসিত। তার দীপ্তিতে সমস্ত পাপ অবসিত হয়ে যায়। শিশুর সারল্য, তার অকলঙ্ক শুভ্রতা
মানুষের অন্তরের ঐশ্বর্য।
দু:খী, রোগ জর্জর, যন্ত্রণা কাতর মানুষের জন্য যীশু স্বর্গের
ঠিকানা নিয়ে এলেন। তিনি বললেন যারা ধনী এবং গর্বিত তারা কখনই স্বর্গে যেতে পারবে
না। তাঁর শিষ্য ও ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলল।
তবে, যাজক সম্প্রদায় ও অন্যান্য স্বার্থান্ধ
প্রভাবশালী মানুষজন যীশুর এই জনপ্রিয়তা মেনে নিতে পারল না। তাঁকে বিব্রত করার
পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হল হীন ষড়যন্ত্র। তারা ঘোষণা করল যীশুকে যে শাসকদের
হাতে তুলে দেবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
যীশুকে বন্দী করার জন্য ফরাসী ও ইহুদী পুরোহিতরা
উঠেপড়ে লাগল। অবশেষে যীশুরই এক বিশ্বাসঘাতক শিষ্য জুডাস তাঁকে ধরিয়ে দিল। এই কাজ
সে করল সামান্য কয়েকটি মুদ্রার বিনিময়ে।
নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র বলে প্রচার করে যীশু
ঈশ্বরের অবমাননা করেছেন এই অপরাধে তাঁকে ক্রশবিদ্ধ করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া
হল। যীশু হাসিমুখে তা মেনে নিলেন। জেরুজালেমের এক প্রান্তে কালভারিতে তাঁর
বধ্যভূমি নির্দিষ্ট করা হল।
কালভারির সুদীর্ঘ পথ যীশু বিশাল ক্রশ বহন করে
নিয়ে গেলেন। অসংখ্য মানুষ তাঁকে অনুসরণ করে চলতে লাগলেন। প্রত্যেকের চোখে জল।
কিন্তু সৈন্যদের ভয়ে কারুর মুখে কোনও কথা নেই।
কটিবাস মাত্র রেখে যীশুর সমস্ত পোশাক খুলে নেওয়া
হল। তাঁকে ক্রশে বেঁধে দুই হাতের তালু, পায়ের পাতা এবং কোমরে বড় বড় পেরেক পুঁতে
দেওয়া হল। তাঁর মাথায় পরিয়ে দেওয়া হল কাঁটার মুকুট।
যীশুখ্রীষ্ট |
অমানুষিক সেই যন্ত্রণা যীশু নির্বিকারভাবে সহ্য
করলেন। পাপীদের উদ্দেশে ঈশ্বরকে বললেন, “পিতা, এরা জানে না এরা কী করছে। এদের ক্ষমা করো।”
বেলা যত বাড়তে লাগল যীশুকে দেখার জন্য লোকজনও ততই
বাড়তে লাগল। মাতা মেরী সংবাদ পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এলেন।
৩ ঘণ্টা ক্রশবিদ্ধ থাকার পর যীশু মৃত্যুর কোল ঢলে
পড়লেন। সেদিন ছিল ৩০ খ্রিস্টাব্দের ৭ই এপ্রিল, শুক্রবার। মানুষের এক হীন চক্রান্তের উদাহরণ হিসেবে
দিনটা পৃথিবীর ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে রইল।
কালর্ডারের উদ্যানে যীশুকে সমাধিস্থ করা হল।
প্রহরীরা সমাধিস্থান পাহারায় রইলেন। যীশুর কিছু শিষ্যও সেখানে সমবেত হলেন। হঠাত্
তাঁরা দেখলেন সমাধিস্থান আলোয় ভরে উঠল। কবরের ভিতর খুঁজে দেখা গেল যীশু সেখানে
নেই।
ক্রশবিদ্ধ হওয়ার ৪০ দিন পর যীশু তাঁর শিষ্যদের
সঙ্গে মিলিত হলেন। ধর্মপ্রচারের ব্যপারে তিনি তাঁদের উপদেশ দিলেন। এরপর যীশু
তাঁদের এলিভেট পর্বতের কাছে নিয়ে গেলেন। শিষ্যদের উদ্দেশে বললেন, “পৃথিবী ও স্বর্গের
সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী আমি। আমার বাণী তোমরা সমস্ত জাতিকে জানাও। ঈশ্বর ও তাঁর পুত্রের
নামে তাদের দীক্ষিত কর। যারা আমাকে বিশ্বাস করে তারা রক্ষা পাবে। আর যারা বিশ্বাসী
নয় তারা মুক্তির পথ পাবে না। মনে রেখো তোমাদের সঙ্গে আমি পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত
থাকব।” পুনরায়
আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিষ্যদের তিনি জেরুজালেমে অপেক্ষা করতে বললেন।
যীশুখ্রীষ্ট |
অবশেষে ৪০ দিন পর যীশু ধীরে ধীরে স্বর্গের পথে
এগিয়ে চললেন। দেখতে দেখতে মেঘের পরপারে, মানুষের দৃষ্টির আড়ালে অদৃশ্য হলেন।
Speech less ..........
ReplyDeleteValo
ReplyDeleteDear Jesus, I need u i open the door of my life today and acept u as my savior and lord. Forgive my sins & make the person u want me to be. Thank you for coming in to my life today. amen🙏
ReplyDeleteSo bogus!
ReplyDeleteWhy??????
DeleteSpeech Lesss... God You Great...
ReplyDeleteJesus Christ is a one and only living God ..amen
ReplyDeleteJesus Christ is a one and only living God
ReplyDeleteSo nice
ReplyDeletejesus you r great. oh god save the earth from enemy's
ReplyDeleteJo muje choice korega usko hi mukti milega ye baat kehek jishu ne loug ki mon ko or bhi osant banaya
ReplyDeleteHe is not the son of God & not crusified.He is a prophet and messenger of God.He is alive now in heaven and will come to world again before 40 yrs ago of world distruction.
ReplyDeleteAmennn
ReplyDeleteso sadfull just heard broking story.speech less
ReplyDeleteKi6o bolar nae prabho
ReplyDeleteAmen ❤️
ReplyDeleteFaol
ReplyDeleteHow birth of date jisu?
ReplyDeleteReally proudfull on jisu.
Jisu is great
ReplyDeleteJoy jishu joy amar pita amar baba amai babar paa er niche thak te chai joy jishu gurur joy
ReplyDeletePrabhu Jisu gurur name theke pitaparameswar ke Dhanyabad'Jisu gurur name jisugurukeo Dhanyabad'Sattya pita Dhnyabad'Guru Jisu Dhanyabad'amin Pita tomay Dhanyabad'Gurujisur name Guru jisu ke Dhanyabad.
ReplyDeleteHi, It was a great session with your blog, and was excellent content materails, keep it upHere My Website
ReplyDeleteSpeechless
ReplyDeletevul tathya ache...40 yrs, ta 40 days hobe..
ReplyDeleteI believe you Jesus
ReplyDeleteI believe you Jesus
ReplyDeleteখ্রীষ্টীয় নিবন্ধগুলি বাংলায় পড়তে নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
ReplyDeleteLink - https://bsbbca.blogspot.com/?m=1
T-Fal T-Fal T-Fal T-Fal T-Sale - All Natural - Vitamins
ReplyDeleteT-Fal titanium exhaust wrap T-Fal T-Sale - All Natural · Brand · Product Information · Info does titanium have nickel in it · Buy It titanium white dominus Online. Product Description · Nutrition Facts. T-Fal titanium quartz T-Fal titanium apple watch band T-Sale.